হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা, সোবহানীঘাট, সিলেট দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত হযরত শাহজালাল (র.) ও তিন শত ষাট আউলিয়ার স্মৃতিধন্য সিলেট মহানগরীর সোবহানীঘাট বিশ্বরোডের পাশে শাহজালাল লতিফিয়া আবাসিক এলাকায় অত্যন্ত নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে ১৯৮৩ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিগত শতাব্দির আশির দশকের অনেক পূর্ব থেকে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলীয়ে কামিল আল্লামা মোঃ আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) [ইন্তেকাল-২০০৮ইং] সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শে একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন। এরই ফলশ্রুতিতে বিগত ২০/০৮/১৯৮১ ইংরেজী তারিখ বিকাল ৫ ঘটিকায় তিনি সিলেট শহরের মধুশহীদস্থ শাহসূফী হযরত মাওলানা রমিজ উদ্দিন সিদ্দীকী সাহেবের খানকা শরীফে এক জরুরী সভা আহবান করেন। উক্ত সভায় বৃহত্তর সিলেটের ধর্মপ্রাণ, দ্বীনি ও শিক্ষা দরদী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন হযরত আল্লামা মোঃ আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)।

সভায় আল্লামা ফুলতলী ছাহবে কিবলাহ (র.) সিলেট শহরে একটি আদর্শ ও দ্বীনি দরসগাহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করিলে উপস্থিত সুধীবৃন্দ বিপুল উৎসাহের সহিত বিষয়টি সমর্থন করেন। সুধীবৃন্দের মধ্য হইতে সোবহানীঘাটের অধিবাসী মরহুম হাজী মোঃ আব্দুস সোবহান তাপাদার তাহাদের নিজস্ব ভূমি হইতে উক্ত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ০০.৭৫ শতক ভূমি আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) কে মুতাওয়াল্লী করিয়া একখানা ওয়াক্ফ দলিল সম্পাদন করিবার প্রস্তাব করিলে সর্বসম্মতিক্রমে ধন্যবাদের সহিত উহা গৃহীত হয়। উক্ত মাদ্রাসা-মসজিদ পরিচালনার জন্য সোসাইটি এক্টের বিধি মোতাবেক একটি ট্রাস্ট গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত ট্রাস্টের আজীবন সভাপতি আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ এবং তাঁহার অবর্তমানে তাঁহার জ্যৈষ্ঠ পুত্র অতঃপর স্থলবর্তীগণ হইতে সভাপতি নির্বাচন করা হইবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত মাদ্রাসা ও মসজিদের নামকরণ করা হয় হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া মাদ্রাসা ও হাজী নওয়াব আলী জামে মসজিদ।

পরিসংখ্যান

এক নজরে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষার্থী

শিক্ষক

স্টাফ

শ্রেণি